প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খান একজন সফল শিক্ষক, দক্ষ প্রশাসক। তিনি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন কলেজের সার্বিক উন্নয়নে। সেই সাথে শিক্ষার মানোন্নয়নে ও শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার যে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার। মুক্তবুদ্ধির চর্চা, জ্ঞানচর্চা, খেলাধুলা চর্চার মাধ্যমে যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে তারই অংশ হিসেবে বাঙলা কলেজে গড়ে তোলেছেন শক্তিশালী সহশিক্ষা কার্যক্রম বলয়। প্রফেসর ড. ফেরদৌসী খানের জন্ম ১৯৬৪ সালের ৫ই এপ্রিল। পুলিশ অফিসার পিতার কনিষ্ঠ কন্যা তিনি। পরিবারে ছিল কঠোর শৃংখলা ও নিয়মানুবর্তিতার চর্চা। আর সেই পরিবেশেই বড় হয়েছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে স্বামী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ ও তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে তার সুখী গৃহকোন। কন্যারাও মেধা ও সৃজনে দেশে বিদেশে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। পেশাগত জীবনে শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় শিক্ষক, সহকর্মীদের সহযোগীতার মনোভাবাপন্ন আর প্রশাসক হিসেবে সাবলীল। চতুর্দশ বি.সি.এস-এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন। চাকরি জীবনের দীর্ঘ সময়ে ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় বি.এ. অনার্স ও এম.এ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্বাবদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি লেখক ও গবেষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য - ‘বাঙলা কলেজ বধ্যভূমি’, ‘উনিশ শতকের বাংলা নাটকে সমাজ ও জীবনের রূপায়ন’, ‘রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি’, ‘বাংলা নাটকে মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান’, ‘বিশ্বায়ন ও আমাদের সংস্কৃতি’, বাংলা সাহিত্যে ‘রুদ্রনারী রেবতী’, ‘টালা অভিনয়’ ধর্মের নিরপেক্ষ সাহিত্যায়ন। এছাড়া বাঙলা কলেজ বধ্যভূমি নিয়ে রচিত গবেষণা গ্রন্থের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে নাটক ‘এ বেদনার শেষ নেই’। ড. ফেরদৌসী খান ভাষা, সাহিত্য, ও শিল্পের প্রতি অনুরাগী যেমন তেমনি আবার দক্ষ সংগঠক। একাধিক সংগঠনের সাথে তাঁর রয়েছে সক্রিয় সম্পর্ক। তিনি American Biographical Institute থেকে Most Admired Woman of the Decade পদকপ্রাপ্ত; Member, Unesco International Institute for Education Plannig, Paris, France; United Front of the Enthusiasts Rating এ Most Popular Teacher হিসেবে নির্বাচিত (২০০০ সাল); অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচিত ৩ বারের যুগ্ম সম্পাদক; সহ-সভাপতি, রোটারী ক্লাব অব ঢাকা আরবানা; সহ-সভাপতি, বাংলা ভাষা শিক্ষক পরিষদ, ঢাকা; সদস্য, বাংলা একাডেমী ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা; বাংলাদেশ ফেন্সিং এসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য।